সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১১

বাজারের জুস বাসায় বসে তৈরি করুন ( ক্যামিকেল দিয়ে )

রচনা - কামরুল আলম
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির আমের জুস পাওয়া যায় । কিন্তু আসলেই কি এগুলো আম? আমি আজ আপনাদের শেখাবো কিভাবে আমের জুস তৈরি করতে হয়। নিজে যখন তৈরি করবেন এবং জুস সম্পর্কে জানবেন তখন আর জুস খেতে হয়ত ইচ্ছা করবে না। চলুন শুরু করা যাক। এটি একটি সরল জুস তৈরির প্রক্রিয়া। ফ্লেভার পরিবর্তন করে এভাবে যেকোনো জুস বানাতে পারবেন।
undefined

যা যা লাগবে
. সি . এম . সি সোডিয়াম
. চিনি (৩ চা চামচ )
. আমের ফ্লেভার ( খুব সামান্য , এক চিমটির কম )
. ফুড কালার

কি করতে হবে
. একটি গ্লাস নিন ।
. আধা চামচের কম সি.এম.সি সোডিয়াম দিন
. পানি দিন।
. গলা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
. চিনি দিন
. আমের ফ্লেভার দিন
. ফুড কালার দিন
undefined

হয়ে গেল আপনার আমের জুস। কি, অনেক সুন্দর আমের গ্রান বের হচ্ছে? এখুনি খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে?? মাত্র এক চামচ খেয়ে দেখুন। এর বেশি নয়। এবং আশা করি বাজার থেকেও আর জুস কিনে খাবেন না। আম বলতে জুসে কিছুই নেই। আমার ল্যাব এ পরিক্ষিত। ধন্যবাদ।
undefined

সতর্কতা
. সি.এম. সি গুঁড়া বেশি দিলে জুস জমে যেতে পারে, যা কিনা বাজারে লিচু বলে পরিচিত ।
. এ জুস এবং যেকোনো জুস বাচ্চাদের খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন ।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১১

রসায়নের কিছু মজার তথ্য

রচনা - কামরুল আলম

রসায়ন মানেই অনেক মজা । চলুন দেখি আজকের মজাগুলো কি !!!
১.আপনি যদি এক গ্লাস পানিতে এক মুঠো লবন দেন তাহলে তো গ্লাসের পানি পরে যাবে ,তাই না ? দিয়ে দেখুন তো পরে কি না । কি অবাক হচ্চেন , পানির উচ্চতা আরও কমে গেল , তাই না ?

২.আপনার শরীরে যে পরিমান কার্বন আছে তা দিয়ে ৯০০০ পেন্সিল বানানো যাবে !!!
৩. সোনা অনেক দুর্লভ। দাম তো আকাশচুম্বী। কিন্তু আপনি কি জানেন পৃথিবীতে যে পরিমান সোনা আছে তা দিয়ে সম্পূর্ণ পৃথিবী ঢেকে দিলে হাঁটু পরিমান উচ্চতা হবে।

৪. অক্সিজেন গ্যাস এর কোন বর্ণ নাই, কিন্তু তরল ও কঠিন অক্সিজেন নীল বর্ণের।
৫. হাইড্রফ্লুরিক এসিড এতবেশি ক্ষয়কারী যে গ্লাস গলিয়ে (dissolve ) ফেলে, কিন্তু তারপরেও এটাকে দুর্বল এসিড বলা হয় ।
৬. পৃথিবীর সবচে দুর্লভ মৌল এস্তেতিন, সারা পৃথিবীতে মাত্র ২৮ গ্রাম এস্তেতিন আছে।
৭. বায়ুমণ্ডলের প্রায় ২০ % অক্সিজেন শুধুমাত্র আমাজন রেইন ফরেস্টের মাধ্যমেই উৎপন্ন হয় ।
৮. সাধারন তাপমাত্রায় ব্রোমিন ও পারদ এ দুটো মৌল ই তরল ।
৯. আমরা জানি পানির রাসায়নিক নাম (H2O ) এইচ টু ও , কিন্তু ইউপ্যাক (IUPAC) অনুযায়ী পানির রাসায়নিক নাম ডাইহাইড্রজেন মনোঅক্সাইড।

১০. মহাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় হাইড্রোজেন কিন্তু পৃথিবীতে সবচে বেশি পাওয়া যায় অক্সিজেন (প্রায় ৪৯ % বায়ুমণ্ডল+ ভুমি+সাগর)
১১. বজ্রপাতে প্রতিবছর অনেক লোক মারা যায়, কিন্তু আপনি কি জানেন বজ্রপাত না থাকলে পৃথিবীর প্রাণীকুল ধ্বংস হয়ে যেত।কারন বজ্রপাতের মাধ্যেমেই ওজোন তৈরি হয় ।
সবাই ভাল থাকবেন । হয়ত আর একদিন আরও মজার কিছু নিয়ে হাজির হব, কিন্তু আপনাদের ভাল না লাগলে আর লিখব না। ধন্যবাদ ।
সূত্রঃ ইন্টারনেট ।


সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

পড়াশুনা করা মানে ফেল করা

রচনা - কামরুল আলম
সাধারন ভাবে অংক মজা লাগে না । কিন্তু অংক যদি মজার হয় , তখন মজা লাগে । পড়াশুনা নিয়া একটা অংক করলে কেমন হয় ??

যদি ও পড়াশুনা এবং অংক দুটি ই বাজে জিনিস ( আমার কাছে মনে হয় )। চলুন সুরু করা যাক,

আমরা ত এটা জানি,
পড়াশুনা = ফেল না  ......১
এবং
না পড়াশুনা = ফেল  ......২
তো এবার এক নং এবং দুই নং সমীকরণ যোগ করে পাই ,
পড়াশুনা + না পড়াশুনা = ফেল না + ফেল
বা, পড়াশুনা + না পড়াশুনা = ফেল + ফেল না
বা, পড়াশুনা ( ১ + না ) = ফেল ( ১ + না )   [[ কমন নিয়ে ]]
বা, পড়াশুনা = ফেল    [[কাটাকাটি করে ]]
তারমানে কি দেখতে পেলেন , পড়াশুনা করলে ফেল করবেন । সমীকরণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সত্য ।

তো আজ ই পড়াশুনা ছেড়ে দিন । সারাদিন শুধু নেট নিয়ে পড়ে থাকুন । নেট থেকেই জ্ঞান আরহন করুন । এটা ও তো এক ধরনের পড়াশুনা হয়ে গেল । তাই না ???

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০১১

টিভি কার্ড শেয়ার করুন

রচনা - কামরুল আলম


একটা সময় ছিল যখন টিভি দেখার খুব নেশা ছিল । এখন নানা কাজের চাপে আর টিভি তেমন দেখা হয় না । আর টিভি দেখতে চাইলেও তেমন অসুবিদা নাই । হাই স্পিড নেট এর কল্যাণে টিভি দেখা আর কোন সমস্যা নয় । তারপর ও নেট এর স্পিড বলে কথা । স্পিড কখন ডাউন হয় তার কোন ঠিক নেই । তো টিভি কার্ড ই একমাত্র ভরসা । আর বাসার সবার জন্নে যদি আলাদা আলাদা ভাবে টিভি কার্ড কিনতে হয় তাহলে পকেটের অবস্তা ও ডাউন হবে । আপনার বাসায় যদি দুই বা ততোধিক কম্পিউটার থাকে তাহলে একাধিক টিভি কার্ডের দরকার নাই । এক টিভি কার্ড দিয়ে নেটওয়ার্ক এর সকল কম্পিউটার এ টিভি দেখতে পারবেন । তাছাড়া বিশ্ব কাপের সময় অফিসেও এক টিভি কার্ড সবাই শেয়ার করতে পারবেন ।  প্রয়োজন শুধু “স্টার মিডিয়া সেন্টার” সফটওয়্যার টি । ডাউন লোডের ঠিকানা টি


কেমন লাগলো জানাবেন ।

মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১১

টাকা তোলার উপায় ( এলার্ট পে / মানিবুকার )

রচনা - কামরুল আলম

১. এলার্ট পে তে একাউন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
২. মানিবুকার্স এ একাউন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

নিচে কয়েকটি পধতি বর্ননা করা হল ..
এলার্ট পেঃ

১। চেকঃ এই পদ্ধতিতে একটি চেক পাঠানো হবে আপনার ঠিকানায়। এই চেকের জন্য আপনাকে ৪ ডলার ফি দিতে হবে । একাউন্টে ২০ ডলার হলে চেকের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার ২ দিনের মধ্যে চেক আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে । এটি হাতে পেতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগবে।

২। ক্রেডিট কার্ডঃ যাদের ক্রেডিট ( মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড ) কার্ড আছে তারা খুব সহজে টাকা তুলতে পারবেন । এলার্ট পে এর একাউন্টে প্রবেশ করার পর ।উপরে ডানদিকে কার্ড যোগ করার জায়গা আছে সেখানে আপনার কার্ডের তথ্য প্রদান করুন । কার্ডটি যোগ করা হয়ে গেলে যাচাই করার জন্য এলার্ট পে আপনার কার্ড থেকে কিছু ডলার নিয়ে আসবে । পরে আপনি আপনার সাইট থেকে কত লেনদেন হয়েছে তার তথ্য সঠিক ভাবে দিতে পারলে কার্ডটি যাচাই হবে । কার্ডে ডলার পাঠালে তা টাকা হিসেবে তুলতে পারবেন এবং এর জন্য আপনাকে চার্জ দিতে হবে ৫ ডলার । টাকা পাঠানোর ৩-৪ দিনের মধ্যে কার্ডে টাকা এসে জমা হবে ।

আরও কিছু পধতি আছে যা অনেক ঝামেলা বহুল + ব্যায় বহুল....তাই আলোচনা করলাম না ।
এলার্ট পে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জান্তে জাকারিয়া ভাইয়ের এই পোষ্টটি পড়ুন

মানিবুকার্স সম্পর্কে পরে আলোচনা করব ...
ততখন পর্যন্ত ভালো থাকুন ....

তৈরি করুন ইউ.এস.বি ব্যাটারি চার্জারঃ

রচনা - কামরুল আলম



প্রায় সবার কাছেই এম.পি.থ্রী প্লেয়ার থাকে । তাছারা আমাদের দেশে মোবাইল তো সবার ই আছে । এসব যন্ত্র থাকলেই তো হয় না , নিয়মিত এদের খাদ্য দিতে হয় । আপনারা তো জানেন এদের খাদ্য কি ? মাঝে মাঝে এদের অসময়ে খিদা পায় ( চার্জ শেষ আর কি ) । এমন অসময়ে খুদা লাগে যে তখন এদের খাদ্য না ও থাকতে পারে ( বিদ্যুৎ থাকে না ) । তো কি করা যায় ? যারা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন কিংবা যারা সর্বদা কম্পিউটার নিয়েই পড়ে থাকেন তাদের সব তো কম্পিউটার রিলেটেড হওয়া দরকার । তো একটু খেতে তৈরি করুন ইউ.এস.বি ব্যাটারি চার্জার । এই চার্জারটি বানাতে আপনাকে ইলেক্ট্রনিক্স এ তেমন দক্ষ হওয়ার দরকার নাই ।
c-1
যা যা লাগবেঃ
১. ১ টি ইউ.এস.বি ক্যাবল ( নষ্ট মাউস থেকে নিতে পারেন )
f-3
২. ৬ টি IN 4148 ডায়োড বা যেকোনো সিলিকন ডায়োড
Diode -1
৩. ১ টি ব্যাটারি কেসিং
যেভাবে কাজ করেঃ
কম্পিউটারের ইউ.এস.বি পোর্টের আউতপুত ভোল্টেজ ৫ ভোল্ট । কিন্তু একটা AAA হচ্ছে ১.২ ভোল্টের । আমরা জানি একটা ডায়োড ০.৬ ভোল্ট করে ড্রপ করে , তাহলে ৬ তা ডায়োড সিরিজে সংযুক্ত করলে ৩.৬ ভোল্ট ড্রপ করবে । তাহলে ৫ ভোল্ট থেকে ৩.৬ ভোল্ট বাদ দিলে আউতপুত পাবো ১.৪ ভোল্ট । একটু খেয়াল করে দেখুন এই সার্কিটকে সামান্য মডিফাই করে আপনারা মোবাইল চার্জার ও বানাতে পারবেন । সেক্ষেত্রে মবাইলের ব্যাটারি ভোল্টেজ কত তা দেখতে হবে এবং সে অনুপাতে ডায়োডকে সিরিজে লাগাতে হবে ।
যেভাবে তৈরি করবেনঃ
ইউ.এস.বি ক্যাবলের লাল ও কাল তার দুটি ছাড়া বাকি তারগুল ছেঁটে ফেলুন । ৬ টি ডায়োড কে সিরিজ সংযোগ দিন । সিরিজ ডায়োডের এনোড প্রান্তটি লাল তারের সাথে সংযোগ দিন । এবার সিরিজ ডায়োডের ক্যাথোড প্রান্তটি ব্যাটারি কেসিং এর (+) প্রান্তে এবং কাল তারটি ব্যাটারি কেসিং এর (-) প্রান্তে সংযোগ দিন । হয়ে গেল আপনার ইউ.এস.বি ব্যাটারি চার্জার ।
নিজের লেখা পড়ে নিজের কাছেই যেন মনে হচ্ছে সহজ করে বলতে পারি নি । ক্ষমা করবেন । আরও সহজ ভাবে বলতে চেষ্টা করবো । ও হ্যাঁ , এটা কিন্তু AAA ব্যাটারি চার্জার । চাইলে এটাকে মোবাইল চার্জার বানাতে পারবেন ।

রবিবার, ৫ জুন, ২০১১

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তৈরি করুন ইউ.এস.বি ফ্যান

রচনা - কামরুল আলম



আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি তাদের সবার কাছেই নষ্ট কিছু ইলেক্ট্রনিক্স থাকে । সেইসব অদরকারি জিনিস দিয়ে তৈরি করতে পারেন দরকারি কিছু । আজ দেখব কিভাবে তৈরি করা যায় ইউ.এস.বি ফ্যান ।

ইউ. এস.বি ফ্যান
ইউ. এস.বি ফ্যান
যা যা লাগবেঃ
১. ১ টি ইউ.এস.বি ক্যাবল ।

ইউ.এস.বি তার
ইউ.এস.বি তার
২. ১ টি কুলিং ফ্যান ।

ইউ.এস.বি ফ্যান
ইউ.এস.বি ফ্যান
দুটি উপকরণ ই সহজে যোগার করতে পারবেন । যোগার করা হয়ে গেলে নিচের নিয়মটি অনুসরন করুন ।
কি করতে হবেঃ
১. প্রথমে ইউ.এস.বি ক্যাবল এর লাল এবং কালো গ্রাউন্ড তার দুটি ছাড়া বাকি গুলো ছেঁটে ফেলুন ।
২. কুলিং ফ্যানের তারের মাথার কানেক্তরতা কেটে ফেলুন ।
৩. এবার এউ.এস.বি ক্যাবল ও কুলিং ফ্যানের লাল তারের সাথে লাল তার এবং কাল তারের সাথে কাল তার জুরে দিন ।
৪. জোড়া অংশটা টেপ দিয়ে ভালো করে মুরে দিন ।
যা জানাবেনঃ
কেমন বাতাস দিচ্ছে আমাকে জানান !!!
ল্যাপটপ ব্যবহার কারীরা বিদ্যুৎ চলে গেলে ও আরামে থাকবেন !!!
সংগ্রহঃ ইন্টারনেট


বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১১

গাছের ফ্যাশন শো



দুনিয়াতে অনেক রকমের গাছ পাওয়া যায় । কিছু প্রাকিতিক এবং কিছু মানুষের কারনে গাছেরা বিভিন্ন আকৃতি লাভ করে । শুধু ভাববেন না যে মানুষেরাই ফ্যাশান শো করে , গাছেরা ও করে । আজ গাছদের এই বিচিত্র ফ্যাশান শো নিয়েই আমার এই লেখা । একবার ঘুরে আসুন অদ্ভুদ গাছদের সঙ্গে.........

t-15


এই গাছকে বড় ঝাড়ু হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন

t-14


ভালো আংটা হবে মনে হচ্ছে...।
t-13


t-12


গাছ তো নয় , যেন ডাইনোসর......

t-11


ভবিষ্যতের বাথরুম গুলো এমনি হতে পারে......

t-10


নকশা কার না পছন্দ...।

t-9


গাছের তোরণ......।

t-8


গাছ যখন নারী মডেল...।।

t-7


প্রাণীদের নাড়ীভুঁড়ি থাকতে পারে , গাছের থাকলে দোষ কি ?

t-6


ভালবাসার ইচ্চে থাকা দোষের নয়...।।

t-5


সিলিন্ডার গাছ......।।

t-4


গাছ যখন শয়তান ......।

t-2


গাছ কখনো কখনো সিংহ হতে পারে......।

t-1


ধ্যেনি গাছ...।

k2


অপূর্ব সুন্দর...



হাসি বায়ুর প্রস্তুতি শেখাঃ

রচনা - কামরুল আলম


আপনার কি কখন ও হাসি আসে না ??
l-7
হাসি না আসলেও সমস্যা নেই। খুব কঠিন মানুষকে ও হাসাতে পারে রসায়ন। রসায়নের এ বিশেস রসের নাম হাসি বায়ু ( লাফিং গ্যাস ) ।
h-1
আমার কথা সুনে হাসবেন না। সত্যি হাসি বায়ুর প্রভাবে সবাই হাসতে বাধ্য । এ বায়ুর কোন রঙ নেই । তবে মৃদু মিষ্টি গন্ধ আছে । এর রাসায়নিক সংকেত N2O .
Nitrous-Oxide-System-Lrg
আপনি কি হাসি বায়ু তৈরি করতে চান......
যা যা লাগবেঃ
১. এমনিয়াম নাইট্রেট ( একটু খোজ করলেই কিনতে পারবেন )
২. টেস্টটিউব-২ টি ( পাতলা কাচের বোতল নিলেও হবে )
৩. কাচনল ( ফেলে দেয়া স্যালাইনের প্লাস্টিক নল হলে হবে )
কি করতে হবেঃ
টেস্টটিউব এ এমনিয়াম নাইট্রেট নিন । নিচের ছবির মত করে সাজিয়ে নিন ।
l-5
এবার টেস্টটিউব এ তাপ দিন । উৎপন্ন হয়ে যাবে হাসি বায়ু ।
ব্যবহারঃ
এ বায়ু নিঃশ্বাসের সাথে অল্প পরিমাণ গ্রহন করলেই হাসি আসবে ।
l-6

সতর্কতাঃ
এ বায়ু নিঃশ্বাসের সাথে বেশি নিলে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে ।
laughing_gas
অতিরিক্ত গ্রহন করলে মারা যেতে পারে ।
***বিভিন্ন ভাবে এ বায়ু তৈরি করা যায় । বাসায় তৈরি করার উপযোগী করে বলে দিলাম । তৈরি করতে পারলে জানাবেন । আরও অনেক জিনিস তৈরি করার প্রক্রিয়া শেখানর ইচ্চা আছে । আপনাদের ভালো লাগলে বলবেন ।




সোমবার, ৩০ মে, ২০১১

নোবেল পুরস্কার ( পর্ব-০১ )

রচনা - কামরুল আলম


নোবেল পুরস্কারের ইতিহাস
সুইডেনের বিজ্ঞানি আলফ্রেড নোবেল ডিনামাইট সহ বিভিন্ন বিস্ফোরকের আবিস্কারক। পুরো নাম আলফ্রেড বারনাড নোবেল ।
nobel-1
তিনি ১৮৩৩ সালের ২১ অক্টোবর সুইডেনের স্টকহোমে জন্মগ্রহন করেন। পড়াশুনা করেন রসায়ন নিয়ে।
আগে পুরনো ভবন ভাঙ্গার জন্য প্রচুর স্রমিক লাগতো । যা ছিল খুব বেয়বহুল । এ ব্যয় কমানোর জন্য নোবেল আবিস্কার করলেন ডিনামাইট ।
d-4
খুব ই কার্যকর এ ডিনামাইট মুহূর্তের মধ্যে ভবন ধংস করতে পারত ।
d-3 
নোবেল ডিনামাইট আবিস্কার করলেন ভালো কাজের জন্য। কিন্তু মানুষ এটা ব্যবহার করতে লাগলো অন্য মানুষকে মারার জন্নে। যা দেখে নোবেল খুব ই আহত হয়েছিলেন। তার নিজের আবিস্কারে মানুষের অকাতর মৃত্যু দেখে স্তব্দ হয়ে গিয়াছিলেন। কিন্তু তখন আর তার কিছুই করার ছিল না । তিনি প্রচুর পরিমান ডিনামাইট বিক্রি করে অনেক টাকা কামিয়ে ছিলেন । তাই চিন্তা করলেন নিজের আয় বিলিয়ে দিবেন এবং তা দিবেন সুদুমাত্র বিজ্ঞানের উন্নয়নের জন্যে । আর তখন থেকে চালু করলেন নোবেল পুরস্কার , যা আজকের পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় পুরষ্কার ।




১=২ হলে কেমন হয়?

রচনা - কামরুল আলম


গনিতে অনেক মজা । আর ও মজা হয় যদি সেটা অদ্ভুদ হয় । আচ্ছা, কখন কি শুনেছেন এক সমান দুই হয় । বাস্তবে এক সমান দুই হলে গনিতের সব পাল্টে যাবে ।
1=2.1
নিচের অংক টি একটু দেখুন ।
প্রথমে ধরা যাক , ক=খ , তো গনিতের সুত্র অনুযায়ী , লেখা যায়
ক২-খ২=ক২-খ.খ [খ২=খ.খ ]
বা, ক২-খ২=ক২-ক.খ [ যেহেতু ক=খ ]
বা, ( ক+ খ )( ক-খ) = ক ( ক-খ) [ যেহেতু a2-b2= (a+b)(a-b) ]
বা, ক+ খ = ক
বা, ক+ ক = ক
বা, ২ক=ক
বা, ২=১
তো প্রমান হয়ে গেল যে ২=১ । তারমানে ২ টাকা = ১ টাকা । ১০০০ টাকা = ২০০০ টাকা ।
1
যদি এরকম হত তাহলে গনিত টিকত না । নিশ্চয়ই কোথাও ভুল আছে । তো ভুলটা কোথায় ?
VUL

ভুলটা দেখিয়ে দিচ্ছি । কোন সংখ্যাকে শূন্য দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল অসীম হয় । আবার কোন সংখ্যাকে শূন্য দিয়ে গুন করলে গুনফল শূন্য হয় ।
4
তিন নম্বর লাইনে ক-খ=০ হয় কারন প্রথমেই বলা হয়েছে যে ক=খ ।
তো এই হল গনিতের মজা । কাউকে এরকম অংক দিয়ে দয়াকরে বোকা বানাবেন না । কারন এই অংকের কোন ভিত্তি নাই । পোস্তটি ভালো লাগলে বলবেন ।
সংগ্রহঃ
১। ইন্টারনেট ।



বাসায় বসে সাবান প্রস্তুত করুন

রচনা - কামরুল আলম


রসায়ন অবশ্যই মজার বিষয়। আর সে মজাটাকে উপভোগ্য করার জন্য এখন আপনাদের শিখিয়ে দেয়া হবে, কিভাবে বাসায় সাবান প্রস্তুত করতে পারবেন।
s-3
যা যা লাগবেঃ
১. ৫০ মিঃ লিঃ নারিকেল তেল ( প্যারাসুট নারিকেল তেলের ৫০ মিলির প্লাস্টিক বোতল পাওয়া যায় ) ,
coconut oil-1
২. ৫০ গ্রাম সোডিয়াম হাইড্রক্সাড NaOH ( এতো কঠিন নাম মনে রাখার দরকার নাই, দোকানে গিয়ে কস্তিক সোডা বললেই দিয়ে দিবে )
৩. লবন।
কি করতে হবেঃ
১. ছোট একটি করাই (পাতিল) নিন।
২. তাতে তেল ঢেলে দিন ।
BEA-2
৩. একটু গরম করুন ( ১ মিনিট হলে হবে )
৪. সাবধানে তেলের সাথে কস্তিক সোডা মেশান ।
৫. কিছুক্ষন গরম করুন।
৬. যখন দেখবেন করাই এ সাদা সাদা শক্ত বস্তু ( সাবান ) দেখা যাচ্ছে তখন করাই নামিয়ে ফেলুন।
s-4
৭. এবার পাত্রে হাল্কা পরিমান লবন দিন ( গ্লিসারিন থেকে সাবান আলাদা করার জন্নে লবন দিতে হবে, লবন না দিলে ও হবে – এ লাইন টুকু না বুজলে ও চলবে )
৮. সাবান রোঁদে শুকিয়ে নিন।
৯. সাবানের নির্দিষ্ট আকার দিন।
s-5
ব্যাস , প্রস্তুত হয়ে গেল সাবান। বাসায় প্রস্তুত করা এ সাবান অধিক ক্ষার যুক্ত , তাই ব্যবহার করার সময় সাবধান থাকুন ।
সতরকতাঃ
১. করাই এ কস্তিক সোডা ঢালার সময় সাবধান থাকতে হবে ।
c-2
২. এ সাবান অধিক ক্ষার যুক্ত , তাই বাচ্চাদের হাতে দিবেন না ।
পোস্তটি পসন্দ হলে বলবেন । পরবর্তীতে আরও অনেক কিছু প্রস্তুত করা নিয়ে লেখার ইচ্চে আছে । তবে অবশ্যই এমন কিছু যার উপকরন দোকানে কিনতে পাওয়া যাবে ।