সঞ্চয়পত্র লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সঞ্চয়পত্র লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০১৪

সঞ্চয়পত্র (প্রতি মাসে প্রতি লাখে ১১২১ টাকা)

রচনা - কামরুল আলম
 
সঞ্চয়পত্র (প্রতি মাসে প্রতি লাখে ১১২১ টাকা)
মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের বিনিয়োগের নির্ভরযোগ্য স্থান হল সঞ্চয়পত্র। শুধুমাত্র সঞ্চয়পত্রেই সবচেয়ে বেশি লাভ পাওয়া যায়। কোন ব্যাংক ই এত লাভ দেয় না। আসুন জেনে নেই কোন সঞ্চয়পত্রে লাভ কেমন।
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রের মধ্যে নিম্নোক্ত সঞ্চয়পত্র গুলো সবচেয়ে লাভজনক
১. পরিবার সঞ্চয়পত্র
২. ৩-মাস মেয়াদি মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
৩. পেন্সনার সঞ্চয়পত্র
৪. বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র


পরিবার সঞ্চয়পত্রঃ

·         ৫ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার সর্বাধিক।
·        মুনাফার হার ১৩.৪৫%
·        প্রতি তিন মাস পর মুনাফা তোলা যায়। এক লাখে তিন মাসে মুনাফা হয় ৩৩৬২ টাকা।
·        সরবনিম্ন ১০০০০ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।
·        শুধুমাত্র মহিলারা ক্রয় করতে পারবে।



তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রঃ
·        মেয়াদ তিন বছর
·        মুনাফার হার ১২.৫৯%
·        প্রতি তিন মাস পর মুনাফা তোলা যায়। এক লাখে তিন মাসে মুনাফা হয় ৩১৪৭.৫০ টাকা।
·        একক নামে সরবচ্ছ ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যায়
·        যেকোনো বাংলাদেশি ক্রয় করতে পারবে।


পেন্সনার সঞ্চয়পত্রঃ
·        মেয়াদ ৫ বছর
·        অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবী ক্রয় করতে পারবে।
·        মুনাফার হার ১৩.১৯%
·        প্রতি তিন মাস পর মুনাফা তোলা যায়। এক লাখে তিন মাসে মুনাফা হয় ৩২৯৭.৫০ টাকা।
·        সরবনিম্ন ৫০০০০ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।

বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রঃ

·        মেয়াদ ৫ বছর
·        মুনাফার হার ১৩.১৯%
·        একক নামে সরবচ্ছ ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যায়


কোথায় ক্রয় করবেন?

১. বাংলাদেশ ব্যাংক এর যেকোনো শাখা
২. বাংলাদেশ পোস্ট অফিস
৩. শিডিউল ব্যাংক

কি কি কাগজ পত্র লাগবে?

১. ন্যাশানাল আই ডি কার্ড এর ফটোকপি
২. ২ কপি ছবি


বানিজ্যিক ব্যাঙ্কঃ

ব্যাংক গুলো প্রতি লাখে ১০০০ টাকা দেবার কথা বললে ও বাস্তবে দেয় ৬০০ টাকার মত। ( একাউন্ত পরিচালনার খরচ + ট্যাক্স + হাবিজাবি কেটে রেখে দেয়)


ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতাঃ

আমি গত ১৩ ই জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক এর সিলেট শাখা থেকে কিনতে গিয়েছিলাম। ফরম আগেই ফিল আপ করে রেখে ছিলাম। ৩২ নং কাউন্তারে খুব ব্যাস্ততা। কিছুতা ক্রিত্তিম ব্যস্ততা। সেদিন আর কাজ হয় নি। কারণ আমার পক্ষে ১০০ টাকা ঘুষ দেয়া সম্ভব ছিল না। তাছাড়া হাতে তত সময় ও ছিল না। পরদিন আমার প্রতিনিধি ১০০ টাকা ঘুষ দিয়ে সম্বভত ৩০ মিনিতেই সকল কাজ সম্পন্ন করেছে। আপনার হাতে যথেষ্ট সময় থাকলে ঘুষ ছাড়াই সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।