সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১১

বাজারের জুস বাসায় বসে তৈরি করুন ( ক্যামিকেল দিয়ে )

রচনা - কামরুল আলম
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির আমের জুস পাওয়া যায় । কিন্তু আসলেই কি এগুলো আম? আমি আজ আপনাদের শেখাবো কিভাবে আমের জুস তৈরি করতে হয়। নিজে যখন তৈরি করবেন এবং জুস সম্পর্কে জানবেন তখন আর জুস খেতে হয়ত ইচ্ছা করবে না। চলুন শুরু করা যাক। এটি একটি সরল জুস তৈরির প্রক্রিয়া। ফ্লেভার পরিবর্তন করে এভাবে যেকোনো জুস বানাতে পারবেন।
undefined

যা যা লাগবে
. সি . এম . সি সোডিয়াম
. চিনি (৩ চা চামচ )
. আমের ফ্লেভার ( খুব সামান্য , এক চিমটির কম )
. ফুড কালার

কি করতে হবে
. একটি গ্লাস নিন ।
. আধা চামচের কম সি.এম.সি সোডিয়াম দিন
. পানি দিন।
. গলা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
. চিনি দিন
. আমের ফ্লেভার দিন
. ফুড কালার দিন
undefined

হয়ে গেল আপনার আমের জুস। কি, অনেক সুন্দর আমের গ্রান বের হচ্ছে? এখুনি খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে?? মাত্র এক চামচ খেয়ে দেখুন। এর বেশি নয়। এবং আশা করি বাজার থেকেও আর জুস কিনে খাবেন না। আম বলতে জুসে কিছুই নেই। আমার ল্যাব এ পরিক্ষিত। ধন্যবাদ।
undefined

সতর্কতা
. সি.এম. সি গুঁড়া বেশি দিলে জুস জমে যেতে পারে, যা কিনা বাজারে লিচু বলে পরিচিত ।
. এ জুস এবং যেকোনো জুস বাচ্চাদের খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন ।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১১

রসায়নের কিছু মজার তথ্য

রচনা - কামরুল আলম

রসায়ন মানেই অনেক মজা । চলুন দেখি আজকের মজাগুলো কি !!!
১.আপনি যদি এক গ্লাস পানিতে এক মুঠো লবন দেন তাহলে তো গ্লাসের পানি পরে যাবে ,তাই না ? দিয়ে দেখুন তো পরে কি না । কি অবাক হচ্চেন , পানির উচ্চতা আরও কমে গেল , তাই না ?

২.আপনার শরীরে যে পরিমান কার্বন আছে তা দিয়ে ৯০০০ পেন্সিল বানানো যাবে !!!
৩. সোনা অনেক দুর্লভ। দাম তো আকাশচুম্বী। কিন্তু আপনি কি জানেন পৃথিবীতে যে পরিমান সোনা আছে তা দিয়ে সম্পূর্ণ পৃথিবী ঢেকে দিলে হাঁটু পরিমান উচ্চতা হবে।

৪. অক্সিজেন গ্যাস এর কোন বর্ণ নাই, কিন্তু তরল ও কঠিন অক্সিজেন নীল বর্ণের।
৫. হাইড্রফ্লুরিক এসিড এতবেশি ক্ষয়কারী যে গ্লাস গলিয়ে (dissolve ) ফেলে, কিন্তু তারপরেও এটাকে দুর্বল এসিড বলা হয় ।
৬. পৃথিবীর সবচে দুর্লভ মৌল এস্তেতিন, সারা পৃথিবীতে মাত্র ২৮ গ্রাম এস্তেতিন আছে।
৭. বায়ুমণ্ডলের প্রায় ২০ % অক্সিজেন শুধুমাত্র আমাজন রেইন ফরেস্টের মাধ্যমেই উৎপন্ন হয় ।
৮. সাধারন তাপমাত্রায় ব্রোমিন ও পারদ এ দুটো মৌল ই তরল ।
৯. আমরা জানি পানির রাসায়নিক নাম (H2O ) এইচ টু ও , কিন্তু ইউপ্যাক (IUPAC) অনুযায়ী পানির রাসায়নিক নাম ডাইহাইড্রজেন মনোঅক্সাইড।

১০. মহাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় হাইড্রোজেন কিন্তু পৃথিবীতে সবচে বেশি পাওয়া যায় অক্সিজেন (প্রায় ৪৯ % বায়ুমণ্ডল+ ভুমি+সাগর)
১১. বজ্রপাতে প্রতিবছর অনেক লোক মারা যায়, কিন্তু আপনি কি জানেন বজ্রপাত না থাকলে পৃথিবীর প্রাণীকুল ধ্বংস হয়ে যেত।কারন বজ্রপাতের মাধ্যেমেই ওজোন তৈরি হয় ।
সবাই ভাল থাকবেন । হয়ত আর একদিন আরও মজার কিছু নিয়ে হাজির হব, কিন্তু আপনাদের ভাল না লাগলে আর লিখব না। ধন্যবাদ ।
সূত্রঃ ইন্টারনেট ।